সম্প্রীতির মিছিলে যাবার আগে।


দিকে দিকে নাকি দারুন হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতি! সেজন্য মিছিলের আয়োজন অনেক। সেইসব সম্প্রীতির মিছিলে যাবার আগে পথিকবর একটু দাঁড়ান।

ক) সম্প্রীতির মিছিল কখন হয়? তিনদিন ধরে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, মন্দির ভেঙে- জ্বালিয়ে তারপর হয় সম্প্রীতির মিছিল।
খ) কোথায় হয় সম্প্রীতির মিছিল? পশ্চিমবঙ্গে, যা ১৯৪৭ সালে বাঙালি হিন্দুরা তৈরী করেছিল হিন্দুদের আবার ইসলামী শাসনে না ফিরে নিরাপদে থাকতে।
গ) হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতি কেমন ? দারুন! যার জন্য বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ থেকে কমে ৮ শতাংশ হয়েছে।

এবার আপনি  সম্প্রীতির মিছিলে যেতে পারেন। তবে সম্প্রীতির মিছিলে যাবার আগে নিচের পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাবলীর জন্য আপনি কি কি পাপ স্খলন করেছিলেন তা বলে গেলে আপনার বিবেকই একটু শান্তি পাবে –

১)  জুরানপুর, কালিগঞ্জ, নদিয়া (৪ঠা মে, ২০১৫): বৈশাখী পূর্ণিমার পরের দিন মারু হাজরা, অসময় হাজরা, শান্ত হাজরা - একই দলিত পরিবারের ৩ জনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে মুসলমান জনতা।
২)  বাবলা, শান্তিপুর, নদীয়া (২৫শে ডিসেম্বর, ২০১৫): মৎসজীবী গুরুপদ বিশ্বাসকে ১৫-১৬ জন মুসলমান যুবক পিটিয়ে হত্যা করে।
৩) জামুড়িয়া, বর্ধমান (২৬শে জানুয়ারি, ২০১৬): দশম শ্রেণীর ছাত্রী টুইঙ্কল কুমারী সাহুকে(১৫) ধর্ষণ করে খুন করে রাজা ওরফে মহম্মদ আফতাব আলম।
৪)  মল্লারপুর, বীরভূম (১০ই অক্টোবর, ২০১৬): মহরমের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ইন্দ্রজিত দত্তকে পিটিয়ে হত্যা করে মুসলমান জনতা।
৫)  হাঁসখালী, নদীয়া (১০ই অক্টোবর, ২০১৬): মহানবমীর রাতে গাজনা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মৌ রজকের (১৭) উপর অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে তিন সন্তানের বাবা ইমান আলি শেখ। কারণ, মৌ-কে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখ্যান করে। ১৮ই অক্টোবর কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে মৌ মারা যায়।
৬)  সিতাই, কোচবিহার (২০শে জানুয়ারি, ২০১৬):  মাধ্যমিকের ছাত্রী ঝর্ণা বর্মণকে ধর্ষণ করে খুন করে রফিকুল মিঞা।
৭)  নলিয়াখালি, ক্যানিং, দক্ষিণ ২৪ পরগণা (২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩):  কলকাতা থেকে মুসলমান দুষ্কৃতিরা গিয়ে নলিয়াখালি গ্রামের দুশোর বেশী হিন্দু বাড়ি লুঠ করে জ্বালিয়ে দেয়। প্রাক্তন সিমি নেতা বর্তমানে সাংসদ, এর পিছনে ছিলেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট দেয়, যা আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
৮)  ধূলাগড়, হাওড়া (ডিসেম্বর, ২০১৬): সংগঠিত মুসলমান দুষ্কৃতিরা দুশোর উপর হিন্দু বাড়ি লুটপাট করে অত্যাচার চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এছাড়া বানতলা গণধর্ষন (৩০শে মে, ১৯৯০), ধানতলা গণধর্ষন (২০০৩), দেগঙ্গা অত্যাচার (সেপ্টেম্বর, ২০১০), কালিয়াচক রায়ট (৩ জানুয়ারি, ২০১৬) সম্বন্ধে আপনারা অনেকেই জানেন। এর প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ছিল মুসলমান দুষ্কৃতিকারীরা।
বিবেক দংশন কি বাড়ছে ? ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৬-য়  প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বাংলাদেশে ২০১৬- ১লা জানুয়ারি  থেকে ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ৯৮ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষিতা হয়েছেন ২৬ জন হিন্দু নারী । ৩৬৬টি মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছে ও ২০৯টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
কি বললেন? এসব ভুয়ো সম্প্রীতির মিছিলে যাবেন না? এসব ভুয়ো সম্প্রীতির মিছিল মানে আগামী দিনে আরও হিন্দুদের উপর আক্রমণ, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশে পরিবর্তনের দিকে আরও এক পা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

#লেখক মোহিত রায়

Comments