বন্ধ হোক দেবী দেবতা নিয়ে বিকৃত লেখা-আঁকা বলা


গত কয়েকমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যে ভাবে হিন্দুত্বকে অপমান করা হচ্ছে এবং হিন্দু ধর্ম নিয়ে যথেচ্ছচার চলছে তা সকলে অবগত আছেন।ধুলাগঢ়,বসিরহাটের ঘা এখন শুকইনি । এর মধ্যে শিল্পকলার নামে হিন্দুত্বকে টার্গেট করে তার দেবী-দেবতাকে বিকৃত রুপে প্রদর্শন করে,হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত করার কি মানে হয়??
 এবিপি গুরুপ এবার তার পূজা সংখ্যার কয়েকটি পত্রিকায় প্রচ্ছদে মা দুর্গাকে খৃস্টানমাতা মেরি রূপে কল্পনা করে কোলে গনেশকে বসিয়েছেন,অন্যটিতে মা দূর্গাকে নগ্নভাবে এক দৃষ্টিকটু রূপ দেওয়া হয়েছে। শিল্পী স্বাধীনতার নামে মা দূর্গাকে যা দেখানো হয়েছে তা এক বিকৃত মানসিকতার পরিচয়।এদের এত বড় সাহস হল কি করে? পারবে অন্য কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে এরকম কিছু লিখতে বা আঁকতে ? 

 অনেকদিন আগেকার একটা ঘটনা মনে পড়ছে। দক্ষিণ ভারতের একটি ইংরেজি সংবাদ পত্র "ডেকান হেরাল্ড" তার সানডে ম্যাগাজিনে ৪/১২/১৯৮৬ তারিখে একটি গল্প লিখেছিলেন মোহাম্মদ নামে একটি বোকা যুবকের কাহিনী,শীর্ষক ছিল "মহম্মদ দি ইডিয়ট"। পরিনাম স্বরূপ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, পত্রিকার দপ্তরে আগুন,৪ জনের মৃত্যু,জখম ৫০ জন। কোর্টের মাধ্যমে পত্রিকাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়,মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য।

 গত ৩ বছর আগে আমাদের পাশের রাজ্যে ওড়িশার দৈনিক পত্রিকা 'সমাজ' ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ প্রফেট মহম্মদের চিত্র সহ এক প্রবন্ধ লিখেছিল,তার জন্মদিন উপলক্ষে। পরিনামে পত্রিকার সাব এডিটর জিতেন্দ্র প্রসাদ দাশ কে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং পত্রিকার কটক,বালেশ্বর এবং রাউলকেল্লা অফিস ভাঙচুর করা হয়,কোথাও কোথাও হকারদের মারধর করা হয়।

 এবিপি কর্তারা এসব জানেনা!!! নিশ্চয় জানে। কিন্তু তাহলে কেন?? হিন্দুর দেবীদেবতা বলে! সহনশীল বলে! যে দূর্গার মাতৃরূপ প্রায় সকল হিন্দুর পরম আরাধ্য তাকে বিকৃত নগ্নতার প্রকাশে প্রকট করার কি মানে হয়?? সহিষ্ণুতারও একটা সীমা থাকে। শিল্পী স্বাধীনতার অনেক যুক্তি থাকে। কিন্তু মা দূর্গাকে নিয়ে কেন? সংখ্যালঘু তোষনের জন্য -না সংখ্যালঘুদের ধৈয্যের পরীক্ষায় জন্য। এদের পত্রিকাগুলো পড়বেন না-নয়ত পিছিয়ে পড়বেন। আপনি কি পত্রিকাটি আপনার ড্রয়িং রুমের টেবিলে বা ছেলে মেয়েদের সামনে পড়তে পারবেন?? না বেড রুমে সাজিয়ে রাখবেন।
এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হোন।

ডাঃ শচীন্দ্রনাথ সিংহ
ক্ষেত্র সংগঠন সম্পাদক
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ


Comments

  1. বরাহনন্দন পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার দাবি জানাবো VHP কে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এখনো বাকিদের প্রকাশ বাকি।তার আগেই যদি কিছু করা যায়...

      Delete
  2. আনন্দবাজার বাজারি মানসিকতায় চলে।তারা সনাতনত্ব বা ঐতিহ্য নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায় না।এখন কিছু বললেই বলবে,এক্সট্রিমিস্ট।কিছু নপুংসক কমিউনিস্ট আঁতেল আর কর্তাভজা মেরুদণ্ডহীনের কোথায় ওঠা বসা আর্টিস্টরা এর বেশি কি ভাববে?এদের রুচিশীলতার দড়িও অভিক সরকারের হাতেই।এতেই এরা শিল্পী তকমা পাওয়া মোক্ষলাভের আশায় থাকে।

    ReplyDelete

Post a Comment