দুর্গাপূজা বিসর্জন--- মুসলমানদের প্রতি এত মমতা কেন?



মহরমের জন্য বিজয়া দশমীর ভাসান বন্ধ।পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ব বারবার অপমানিত হচ্ছে।বর্তমান ধার্মিক ,সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ এক বিশেষ সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে।পাহাড় থেকে সমুদ্র  অশান্তির আগুনে জ্বলছে।গনমাধ্যমগুলি না দেখার ভান করছে।জনগন প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।এই পরিস্থিতিতে কোনো গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ও সংবাদপত্রের একটি বিশেষ ভুমিকা থাকে।মিডিয়া গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ।দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে বাংলার নানা পট পরিবর্তনে সংবাদ মাধ্যমগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।আজ নবপ্রজন্মের সাংবাদিক বন্ধুদের সত্য, ন্যায়, সাহসিকতার উপর ভিত্তি করে প্রকৃত ঘটনাগুলিকে সমাজের সামনে তুলে ধরতে হবে।বাংলা ভাষার সংবাদ মাধ্যমগুলির নিরপেক্ষ প্রতিফলন আজ খুবই জরুরী।প্রশ্ন হল,পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীর সব চেয়ে প্রীয় উৎসব দুর্গাপুজা । তাকে বন্ধ করা, তার পরম্পরাগত পদ্ধতির উপর নিষেধাজ্ঞা বা পরোক্ষভাবে বন্ধ করার এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কোথায় প্রতিবাদ?সংবাদ মাধ্যমে সরকারী এই ঘোষনার বিরুদ্ধে জনমত জাগরনের চেষ্টা হয়েছে কি?আমাদের কি মেনে নিতে হবে----

●মহরমের জন্য বিজয়া দশমীর বিসর্জন বন্ধ হোক।
●মহরমের দিন দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া যাবে না এই ফরমান কেন??
●হিন্দুদের আস্থার উপর কেন চোট---ভোটের জন্য??
●বিজয়া দশমীর বিসর্জন এবং মহরমের তাজিয়া নিয়ে শোভাযাত্রা একই দিনে নয় কেন?
 ●সংখ্যাগুরুদের অধিকার খর্ব করে সংখ্যালঘুদের কেন এই সুযোগ---শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানদের সংখ্যাই বা কত?
●ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মেশানোর এই অপচেষ্টা কেন??

উপরিউক্ত প্রশ্নগুলি নিয়ে আজ বাংলার সংবাদ মাধ্যমগুলি চুপ কেন?বাঙালীর আস্থার উপর যখন আঘাত তখন সাংবাদিক বন্ধুরা আবার একবার গর্জে উঠুক।বন্ধ হোক তোষনের এই রাজনীতি।কোন অবস্থাতেই  পশ্চিমবঙ্গকে  বাংলাদেশের অঙ্গ হতে দেব না।দেশ বিভাজনের ঘা এখনও শুকইনি।পশ্চিমবঙ্গের সরকার কি কেবল মুসলমানদের জন্য??আসুন,আবার একবার সমস্ত মতভেদের  উর্দ্ধে উঠে,জাতপাত সাম্প্রদায়িকতার ভেদাভেদ ভুলে সকলে বিজয়া দশমী পরম্পরা অনুসারে উদযাপন করায় ব্রতী হই। এক প্রচন্ড শক্ত সামর্থ দৈবী শক্তির জাগরন করে মা দুর্গার আবাহন ও বিসর্জনে সকলে এক হই।



শচীন্দ্রনাথ সিংহ
ক্ষেত্র সংগঠন সম্পাদক
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

Comments