স্বামী লক্ষ্মনানন্দ সরস্বতী হত্যা-কি অপরাধে ??


বয়োবৃদ্ধ সন্ন্যাসী, সমাজসেবী ,দরিদ্র জনজাতীদের সেবায় নিয়োজিত ৮৪ বছরের পূজ্য স্বামী লক্ষ্মনানন্দজী মহারাজের হত্যা সমাজের সামনে এক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।কি অপরাধ ছিল স্বামীজীর? জন্মাষ্টমীর রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজারত অবস্থায় তাঁকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো।সরকারী তন্ত্র কেন দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল।দেশের তখনকার রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দল ওড়িশার ঐ লোকপ্রিয় সন্তের হত্যার পর ঐ প্রসঙ্গে একটিও শব্দ খরচ করার আবশ্যকতা কেন করেননি? তাঁর জনপ্রিয়তার কারণেই এবং সরকার দ্বারা হত্যাকাণ্ডের উপেক্ষার ফলে এক স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের জনবিস্ফোরণ হয়েছিলো ।
 যদি সরকার দ্বারা সমবেদনামূলক দুএক কথা বা    অপরাধীদের খুঁজে বের করার কোন চেষ্টা হত, তাহলে জনতার মধ্যে এই আক্রোশ উৎপন্ন হতো না
 দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে   সরকার খৃস্টান মিশনারীদের পাপ বারবার লুকানোর চেষ্টা করেছে। ধর্মান্তরকরুন প্রক্রিয়া সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার এক চরম সীমায় নিয়ে গিয়েছিল।অন্যায়ের একটা সীমা থাকা দরকার।
 ঘটনা ২৩ শে আগেষ্ট,২০০৮,মধ্যরাত এ।ওড়িশার কান্ধমাল জেলা কেন্দ্র ফুলবানী থেকে ১২০ কিমি দূরে এক প্রত্যন্ত গ্রাম--জলেশপটা ।জন্মাষ্টমীর রাতে জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামে মহারাজের আশ্রমে তিন জন সন্ন্যাসীকে গুলি করে,পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঙ্গচ্ছেদ করা হয়। কি অপরাধে ?খৃস্টানদের স্মরণ থেকে হত দরিদ্র বনবাসীদের প্রভু জগন্নাথের ভক্ত করার অপরাধে!!গ্রামে গ্রামে বিদ্যালয়, ধর্মচর্চাকেন্দ্র ,গরিব ছেলে-মেয়েদের জন্য ছাত্রাবাস চালাতেন তার জন্য?রাষ্ট্রীয়  স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ,বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ,বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের প্রমুখ ব্যাক্তিদের নিয়ে হিন্দু সম্মেলন করতেন তার জন্য?সাধু সন্তদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে ধর্ম জাগরণ যজ্ঞের আয়োজন করতেন-এই ছিল তার অপরাধ!বিদেশী চার্চের দ্বারা খৃস্টান মিশনারীদের 'সমুহিক নরসংহারের' পরিণাম হল পূজ্য লক্ষ্মনানন্দজীর নৃশংস হত্যা।
পুতনা রাক্ষসীর মতো সেবার আড়ালে ধর্মান্তকরণ এর জঘন্য চক্রান্ত ব্যর্থ করুন-জনগণের সামনে এদের মুখোশ খুলে দিন।


ডাঃ সচিন্দ্রনাথ সিংহ
ক্ষেত্র সংগঠন সম্পাদক
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

Comments