আসুন গর্জে উঠি সকলে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে




আমরা আজ পথে নেমেছি -নামতে বাধ্য হয়েছি ৷পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা বারবার হিন্দুদের ওপর সন্ত্রাস কায়েম করেই চলেছে ৷হিন্দুদের ওপর প্রকাশ্যে অত্যাচার এখন যেন পশ্চিমবঙ্গে রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷এরাজ্যে ধুলাগড়,বসিরহাট,ক্যানিং,কালিয়াচক,কাটোয়া জেহাদি মুসলিম সন্ত্রাসে হিন্দুদের জীবন ,জীবিকা, মান সম্ভ্রম,সম্পত্তি সবই ক্ষতিগ্রস্ত ৷এমনকি সরকারী আধিকারিক,থানা ,পুলিশ সব কিছুই তাদের শিকারে পরিণত হয়েছে ৷রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুদের স্বাধীন ধর্মাচরণে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে -পূজার্চনা থেকে ভাসান ,শাঁখ বাজানো থেকে উলুধ্বনি সবেতেই বিধিনিষেধের জালে আটকানো হচ্ছে হিন্দুদের -শুধুমাত্র হিন্দুদের ৷যার সবকিছুই হচ্ছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারী মদতে ৷হিন্দুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা আজ প্রশ্নের মুখে ৷

এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা ? এখানে রামনবমী পালনে খেয়াল খুশিমতো নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হয়।অস্ত্র নিয়ে যাবে না ,রামগান করা যাবে না ,ওঁম লেখা পতাকা লাগানো যাবে না ৷থানা থেকে এসে কোথাও প্যান্ডেল খুলে দিচ্ছে ৷রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই পুলিশের নজরদারি দেখে  মনে হয় ভারতবর্ষের না-কি পাকিস্তানে রামনবমী পালন করতে চলেছি আমরা ৷তালিবানি শাসন যেন চলছে এই রাজ্যে ৷
রানীগঞ্জ আসানসোলের আগুন এখনও ধিক ধিক করে জ্বলছে ৷ সোমবার রানিগঞ্জের সাহেববাঁধ হিলবস্তি এলাকা দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রা যাবার সময়ে বাড়ির ছাদ থেকে জেহাদি মুসলিমরা ঐ শোভাযাত্রার ওপর ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে,রাম গান করতে বাধা দেয়  ৷ বোমা আর অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাম ভক্তদের উপর ,আগুন লাগিয়ে দেয় হিন্দুদের বাড়ি ঘর দোকান ও মন্দিরে ,বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন ভক্ত লুটিয়ে পড়েন রাজপথে ৷দুজনের মৃত্যু হয় । বেশ কিছু ভক্ত আহত হন ৷ঐ সন্ত্রাসের কাছে রাজ্য পুলিশ দিশেহারা হয়ে যায় ৷কোনো ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা ,তারা নিজেদেরকে বাঁচাতে পারেনি ঐ সন্ত্রাসের হাত থেকে ৷রানীগঞ্জ থানার ওসি ,এলাকার ডিএসপি শ্রী অরিন্দম দত্ত চৌধুরী আঘাতে ভয়ংকরভাবে আহত হন,আহত হন আরো অনেক পুলিশ কর্মী ৷তৃণমূল মদতে জেহাদি মুসলিমরা ক্রমশ রানীগঞ্জ ছাড়িয়ে আসানসোলেও ছড়িয়ে পড়ে ৷রানীগঞ্জ আসানসোলের বহু নিরীহ হিন্দু জনগণ নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পলায়ন করছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে৷

শুধু রানীগঞ্জ কিংবা আসানসোল নয়,পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রাম নবমীর শোভাযাত্রাকে নিশানা বানিয়েছে জেহাদিরা ৷দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে ধর্মীয় শোভাযাত্রার উপর আক্রমণকারীদের পুলিশ গ্রেফতার না করে পরোক্ষে তাদের তোষণ করে হিন্দু নির্যাতনের ঠিকা যেন আক্রমণকারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ভারত সরকারের নিষেধ অগ্রাহ্য করে এই রাজ্যে তৃণমূলের রাজনৈতিক মদতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের এনে বসাচ্ছে কিছু স্থানীয় মুসলিম নেতা এবং প্রকাশ্যে তারা হুমকিও দিচ্ছে এই বলে যে,রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে সহায়তা না করলে তারা পশ্চিমবঙ্গকে স্তব্ধ করে দেবে ৷

কি অদ্ভুত পরিস্থিতি!আমরা রুখে না দাঁড়ালে আগামী দিনে তার যে কি ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে তার সিঁদুরে মেঘ দেখতে আরম্ভ করেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী।যেন ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পূর্ববর্তী সেই অস্থির অবস্থার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে৷এখন যদি আমরা প্রবল প্রতিবাদ না করি ,না রুখে দাঁড়াই এই জেহাদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে,যদি গর্জে না উঠি এই পশ্চিমবঙ্গকে তথা হিন্দুদের রক্ষা করার স্বার্থে তবে সেদিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন এই পশ্চিমবঙ্গ বলে আর কিছু থাকবে না -শুধু থাকবে হিন্দু শূন্য পশ্চিম বাংলাদেশ!

 তবে তা হতে দেওয়া যাবে না ৷ দেশভক্ত সংগঠিত শক্তি ছুড়ে ফেলে দেবে এই হিন্দু বিরোধী শক্তিগুলিকে। রক্ষা করতে হবে ধর্ম ,জাতি, সমাজ, ও দেশকে ৷জয় হবে আমাদেরই।

      জয় শ্রী রাম ৷ভারত মাতা কি জয় ৷

Comments