শ্রীকৃষ্ণজন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যাপক কর্মসূচী


জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আগামী 23,24 ও 25 আগস্ট এই তিনদিন ব্যাপী পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম,শহর ও শহরতলিতে ব্যাপকভাবে জন্মাষ্টমী পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । প্রায় ৫০০ টির বেশী স্থানে শোভাযাত্রা সহকারে জন্মাষ্টমী পালন এবং আরোও ১৫০০ টি স্থানে পূজাপাঠের মাধ্যমে ঘরোয়াভাবে উৎসব পালন করা হবে বলে পরিষদের মিডিয়া প্রভারী সৌরীশ মুখার্জী জানিয়েছেন ।বঙ্গ বিভাজনের পর ব্যাপক অনুপ্রবেশ ,গ্রামে গ্রামে জেহাদী কার্যকলাপের বৃদ্ধি,হিন্দু উৎসব অনুষ্ঠানগুলোর উপর নিরন্তর ভীতিপ্রদর্শন এবং সরকারী বাধা নিষেধের ফলে হিন্দু অস্মিতা আজ বিপন্ন। হিন্দু সমাজের মধ্যে যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার জন্য সংগঠিত হিন্দু শক্তি প্রদর্শনের জন্য শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ব্যাপকভাবে পালন করা হচ্ছে বলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্বক্ষেত্র সম্পাদক অমিয় সরকার জানিয়েছেন।তিনি আরোও বলেন, হিন্দু সমাজের উচ্চ-নীচ বিভেদ ভুলে রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধে উঠে, মত-পথ-সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে সকলকে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঐক্য বদ্ধ হওয়ার জন্য এই উৎসবের আয়োজন। রাজনৈতিক বাধা এলে ঐক্যবদ্ধ হিন্দু হিসাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি আহ্বান করেন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সমস্ত ঘাত প্রতিঘাতকে উপেক্ষা করে জীবন যাপনের কলা সমাজকে শিখিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠিত হিন্দু শক্তি গড়ে তোলার জন্য 1964 সালের এই জন্মাষ্টমীর দিনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থাপনের প্রাসঙ্গিকতা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।সংগঠনের বিস্তার এবং দৃঢ়ীকরনের জন্য এবং আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই উৎসবের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে বলে পরিষদ মনে করে। প্রতিটি অনুষ্ঠান কেন্দ্রে বালক-বালিকাদের কৃষ্ণ সাজো , শ্রীকৃষ্ণের ছবিতে রং ভোরো প্রতিযোগিতা, সংকৃর্তন দল,শ্রী কৃষ্ণের সুসজ্জিত ট্যাবলো থাকবে এবং শোভাযাত্রার শেষে ধর্মসভারও আয়োজন হবে বলে পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।

Comments

  1. রং ভরো হবে। "ভোরো" কোনো বাঙ্গালী বলে না।

    ReplyDelete

Post a Comment